Dhaka , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুকুরের উপর বাসর ঘর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • ৬৮০ বার পঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি

সখের বশে মানুষ মহাকাশে, বিমানে বা ব্যতিক্রমী স্থানে বিয়ে ও বাসর করে থাকে। এবার বিয়ে করে পুকুরে বাসর ঘর বানিয়ে আলোচনায় শেরপুরের এক দম্পতি।

খরচ ও আয়োজন কম হলেও বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। হালিম মিয়া (২৫) নামে ওই বর নিজেই অভিনব এই বাসর ঘর তৈরি করেছেন।

হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া এলাকায়। এই অভিনব বাসর ঘর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।

আজ শনিবার হালিমের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রাতে পুকুরের উপর বাসর করা নতুন ওই দম্পতিকে দেখতে বৌভাতে হাজির হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

জানা গেছে, হালিম একটি ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং শ্রমিক। গত সপ্তাহে মোর্শেদা আক্তার মায়া নামের এক তরুণীর সঙ্গে হালিমের বিয়ে নির্ধারণ হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন শুরু হয় বিয়ের পর থেকেই। পুকুরের মাঝখানে বাঁশের লাঠি দিয়ে বাসর ঘর তৈরি করা হয়েছে। বাসর ঘরটি রঙিন কাপড় এবং লাইটিং দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরের ভেতরে বিছানা রেখে ফুলের সাজে সাজানো হয় বাসর ঘর। বাসর ঘরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর স্থানীয় বন্ধু-বান্ধব স্বজনরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাড়িটি তৈরি করেন। রাত দেড়টার দিকে বসার ঘরে প্রবেশ করেন ওই দম্পতি।

হালিম জানিয়েছেন, স্মরণীয় এই বাসর ঘরের কথা সারা জীবন স্ত্রী মনে রাখবে বলে স্বামীকে জানিয়েছেন। ওই বাসর ঘরটিতে আরও কয়েকদিন স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করবেন বলে জানান হালিম।

হালিমের ইচ্ছে ছিল নিজের বিয়ের বাসর করবেন ব্যতিক্রম আয়োজনে। সেই ইচ্ছা থেকেই এমন আয়োজন। এই বাসর ঘর তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বরের নানা কেফায়েত উল্লাহ ও স্বজন রুপন ফারাজি, সুহেল সরকার ও ৬ জন ভাতিজাসহ কয়েকজন বন্ধু।

স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যারা এই ঘর বানিয়েছেন তারা জানান, আয়োজনে টাকা ও সময় কম ব্যয় হলেও ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের সাক্ষী হয়ে থাকলেন তারা।

চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, এমন আয়োজনে এলাকার মানুষ অনেক আনন্দ পেয়েছে। যদিও এই ছোট ব্যাপারটি ইতিহাস নয়, এমন মজার বাসর ঘর মানুষকে অনেক দিন আনন্দ দেবে। এই বাসর ঘর নিয়ে দুই দিন ধরে আমার ইউনিয়নে আগন্তকদের আনাগোনায় এলাকা মুখরিত।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

পুকুরের উপর বাসর ঘর

আপডেট টাইম : ০৭:১০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

শেরপুর প্রতিনিধি

সখের বশে মানুষ মহাকাশে, বিমানে বা ব্যতিক্রমী স্থানে বিয়ে ও বাসর করে থাকে। এবার বিয়ে করে পুকুরে বাসর ঘর বানিয়ে আলোচনায় শেরপুরের এক দম্পতি।

খরচ ও আয়োজন কম হলেও বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। এ অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। হালিম মিয়া (২৫) নামে ওই বর নিজেই অভিনব এই বাসর ঘর তৈরি করেছেন।

হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের সাতানী পাড়া এলাকায়। এই অভিনব বাসর ঘর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।

আজ শনিবার হালিমের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রাতে পুকুরের উপর বাসর করা নতুন ওই দম্পতিকে দেখতে বৌভাতে হাজির হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।

জানা গেছে, হালিম একটি ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং শ্রমিক। গত সপ্তাহে মোর্শেদা আক্তার মায়া নামের এক তরুণীর সঙ্গে হালিমের বিয়ে নির্ধারণ হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন শুরু হয় বিয়ের পর থেকেই। পুকুরের মাঝখানে বাঁশের লাঠি দিয়ে বাসর ঘর তৈরি করা হয়েছে। বাসর ঘরটি রঙিন কাপড় এবং লাইটিং দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। ওই ঘরের ভেতরে বিছানা রেখে ফুলের সাজে সাজানো হয় বাসর ঘর। বাসর ঘরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর স্থানীয় বন্ধু-বান্ধব স্বজনরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাড়িটি তৈরি করেন। রাত দেড়টার দিকে বসার ঘরে প্রবেশ করেন ওই দম্পতি।

হালিম জানিয়েছেন, স্মরণীয় এই বাসর ঘরের কথা সারা জীবন স্ত্রী মনে রাখবে বলে স্বামীকে জানিয়েছেন। ওই বাসর ঘরটিতে আরও কয়েকদিন স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করবেন বলে জানান হালিম।

হালিমের ইচ্ছে ছিল নিজের বিয়ের বাসর করবেন ব্যতিক্রম আয়োজনে। সেই ইচ্ছা থেকেই এমন আয়োজন। এই বাসর ঘর তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন বরের নানা কেফায়েত উল্লাহ ও স্বজন রুপন ফারাজি, সুহেল সরকার ও ৬ জন ভাতিজাসহ কয়েকজন বন্ধু।

স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যারা এই ঘর বানিয়েছেন তারা জানান, আয়োজনে টাকা ও সময় কম ব্যয় হলেও ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের সাক্ষী হয়ে থাকলেন তারা।

চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, এমন আয়োজনে এলাকার মানুষ অনেক আনন্দ পেয়েছে। যদিও এই ছোট ব্যাপারটি ইতিহাস নয়, এমন মজার বাসর ঘর মানুষকে অনেক দিন আনন্দ দেবে। এই বাসর ঘর নিয়ে দুই দিন ধরে আমার ইউনিয়নে আগন্তকদের আনাগোনায় এলাকা মুখরিত।