আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বেড়েছে। মিত্র ইসরায়েলকে বাঁচাতে গিয়ে বহুমুখী হামলার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে। লোহিত সাগরে বিশেষ মার্কিন নৌবহর পাঠানো হয়েছে। আর দেশটির সামরিক ব্যয়ও বাড়ছে।
এখন জানা যাচ্ছে যে মধ্যপ্রাচ্যে ১৩০টিরও বেশি হামলা ঠেকাতে গত ছয় মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে। এই অস্ত্রগুলি মার্কিন বাহিনী তাদের সামরিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করে।
মঙ্গলবার মার্কিন নৌবাহিনীর সেক্রেটারি কার্লোস ডেল টোরো সিনেট অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির শুনানিতে এ তথ্য দেন। তিনি সামরিক ও অস্ত্রের ঘাটতি মেটাতে একটি সম্পূরক জাতীয় নিরাপত্তা প্যাকেজ পাসেরও আহ্বান জানান।
ডেল টোরো বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে আমরা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর ১৩০টি সরাসরি হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছি।’
তিনি জানান, এই হামলা ঠেকাতে গিয়ে মার্কিন নৌবাহিনী ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ব্যবহারের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এই পর্যায়ে তাদের আরো অস্ত্রের মজুদ দরকার। আর সে কারণেই অস্ত্রের ঘাটতি পূরণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আর সেই ঘাটতি পূরণে সম্পূরক হিসেবে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ মার্কিন নৌবাহিনী ও মেরিন কোরের জন্য দরকার।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। হামাসের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তারা এই হামলা চালাচ্ছে। জবাবে যুক্তরাষ্ট্র হুথি বিদ্রোহীদের আস্তানায় বেশ কয়েকটি হামলা চালায়।