Dhaka , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট বিভাগেই প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান: প্রধানমন্ত্রী

  • দীপ্ত ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

দীপ্ত ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অটিজম ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে আরো বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে চিহ্নিত করে লালন-পালন করা গেলে তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উপলক্ষ্যে আমি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সকল শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক ডিভাইস উদ্ভাবক এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিগত ১৫ বছরে আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯। আমাদের সরকার এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন নয়’-এ নীতির আলোকে আমরা সমাজের সবার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এনডিডি প্রোটেকশন ট্রাস্টের অধীনে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশের ১৪টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪টি ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও, শিশু এবং এনডিডি বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ট্রাস্ট এনডিডি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশনের সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আট বিভাগেই প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

দীপ্ত ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) শিশু ও ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে অটিজম ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।

এ লক্ষ্যে আরো বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অটিজম আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে চিহ্নিত করে লালন-পালন করা গেলে তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উপলক্ষ্যে আমি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সকল শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক ডিভাইস উদ্ভাবক এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অটিজম ও প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার। বিগত ১৫ বছরে আমরা অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছি। এর মধ্যে রয়েছে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা-২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা- ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯। আমাদের সরকার এসব আইনের সফল বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ‘কাউকে পিছনে রেখে উন্নয়ন নয়’-এ নীতির আলোকে আমরা সমাজের সবার জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এনডিডি প্রোটেকশন ট্রাস্টের অধীনে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশের ১৪টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪টি ‘অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও, শিশু এবং এনডিডি বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য দেশের আটটি বিভাগে আটটি ‘চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। ট্রাস্ট এনডিডি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশনের সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রী ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।